স্বদেশ ডেস্ক:
আগামী ২৪ জানুয়ারি ২০২১ পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পর্তুগালের ইতিহাসে এবারই প্রথম জরুরি অবস্থার মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। বর্তমান ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো দ্যা সুসাও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তাকে সাংবিধানিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট সাতজন প্রার্থী। তন্মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্সেলো দ্যা সুসা (পিএসডি) আনা গোমেজ (পিএস) এন্ড্রে ভেনতুরা (সিএইস) মারিছা মেটিয়াস (বিই) জোয়াও ফেরেরা (পিসিপি) তিয়াগো গনসালভেস (আইএল) ও ভিটোরিনু সিলভা (আরআইআর) পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্সোলো দ্যা সোসা ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে প্রায় ৫২ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৬ সালের ৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই সময় থেকে তিনি ও প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিও কোস্টারের মধ্যে রয়েছে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক।
পর্তুগিজ আইনের অধীনে একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট (৫০% প্লাস ওয়ান ভোট) পেতে হবে। কোনো প্রার্থী যদি প্রথম রাউন্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করে তবে প্রথম দফায় সর্বাধিক ভোট প্রাপ্ত দুই প্রার্থীর মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি রান-অফ নির্বাচন (অর্থাৎ দ্বিতীয় রাউন্ড) অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিটি প্রার্থীকে নির্বাচনের এক মাস আগে সমর্থনের জন্য কমপক্ষে সাত হাজার পাঁচ শ’ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হয় এবং পর্তুগালের সাংবিধানিক আদালতে জমা দিতে হয়। এর পরে সংবিধানিক আদালত প্রার্থীদের যাচাই করে যা ব্যালটে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।
পর্তুগালের ইতিহাসে ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি ১০ জন প্রার্থী প্রেসিডন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
নির্বাচনের সর্বশেষ জরিপে বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্সেলো দ্যা সোসা ৬৩ ভাগ সমর্থন পেয়ে এগিয়ে আছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনা গোমেজ ১৩ ভাগ ও ভেনতোরা ১০ ভাগ সমর্থন পেয়েছেন।